পোস্ট-পেইড বিল পরিশোধ অপশনসমূহ
বাংলালিংক পোস্ট-পেইড গ্রাহকদের জন্য নিচের বিল পরিশোধ অপশনগুলো রয়েছে:
পেমেন্ট পদ্ধতি | বর্ণনা |
আই’টপ-আপ রিচার্জ | পোস্ট-পেইড গ্রাহকরা দেশজুড়ে বাংলালিংক-এর যে কোনো আই’টপ-আপ রিচার্জ-এর মাধ্যমেও বিল পরিশোধ করতে পারেন। |
ক্যাশ এবং ক্রেডিট কার্ড | বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার সেন্টার-এর তালিকা গ্রাহক বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার সেন্টার-এর ব্যাংক বুথে সরাসরি ক্যাশ টাকা দিয়েও বিল পরিশোধ করতে পারে। গ্রাহক ভিসা কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ড-এর মাধ্যমে বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার সেন্টার-এর যেকোনো ব্যাংক বুথেও জমা দিতে পারেন। গুলশান চট্টগ্রাম সিলেট সময়: কাস্টমার কেয়ার সেন্টার-এর কাজের সময় অনুযায়ী |
বিল ও অন্যান্য অর্থ গ্রহণের জন্য বাংলালিংক অনুমোদিত ব্যাংকসমূহ | বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাংলালিংক-এর রয়েছে বিল সংগ্রহের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। নির্দিষ্ট ব্যাংকের ব্যাংকিং সময়ে এইসব ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলালিংক পোস্ট-পেইড গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করতে পারবেন, অগ্রিম বিল জমা দিতে পারবেন কিংবা বাংলালিংক পেমেন্ট স্লিপের মাধ্যমে অগ্রিম বিল দিয়ে সিকিউরিটি ডিপোজিটকে শক্তিশালী করতে পারেন। কিছু কিছু ব্যাংকের ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট অপশন রয়েছে যেখানে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে বিল পরিশোধ করা সম্ভব। বাংলালিংক নির্ধারিত ব্যাংক: ১. ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ২. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড নির্ধারিত ব্যাংকগুলো দেখুন |
এটিএম বুথ | এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ডাচ্ বাংলা ব্যাংক-এর এটিএম বুথের মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া সম্ভব। |
ডিডি/পে-অর্ডার/চেক | চেক অবশ্যই “বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড”-এর নামে প্রদানযোগ্য হতে হবে। গ্রাহককে অবশ্যই চেক-এর সাথে একটি ভিন্ন কাগজে বিলের কপি (বাংলালিংক বিল কপি)/ তার নাম ও এসভিসি নাম্বার লিখে সংযুক্ত করে দিতে হবে। এখানে মনে রাখতে হবে চেক শুধুমাত্র কোম্পানি, অ্যাম্বাসি এবং কোম্পানির নীতি দ্বারা কোন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য হবে। |
অটো বিল-পে | ‘অটো বিল-পে’ কী? বাংলালিংক তার গ্রাহকদের জন্য মোবাইল বিল-পে পদ্ধতিকে করেছে সম্পূর্ণ ঝামেলামুক্ত। অটো বিল-পে’র সাহায্যে একজন গ্রাহকের শুধু একটি ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে, এরপর বিল সংগ্রহ করা এবং বিলিং তথ্য হালনাগাদ করার দায়িত্ব আমাদের। বস্তুত বিল সংগ্রহ এবং বিলিং তথ্য হালনাগাদ করা পুরো বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হয়। ফলে লাইন কাটা নিয়ে গ্রাহককে কখনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না। (পিডিএফ ফর্ম ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন) অটো বিল-পে’র বৈশিষ্ট্য: গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড থেকে বিল সংগ্রহ করা হবে। অটো বিল-পে পদ্ধতি যেকোনো ব্যাংক থেকে প্রদানকৃত ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড বা আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড গ্রহণ করে। গ্রাহককে কেবল একবার অটো বিল-পে অনুমোদনে স্বাক্ষর করতে হবে। কোন গ্রাহকের মাসিক সর্বোচ্চ ব্যবহার সীমার ৮০ শতাংশ ব্যবহৃত হলে অথবা মাসের শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটো বিল-পে সংগ্রহ হয়ে যাবে। গ্রাহক যদি অপশন ১ (বিস্তারিত নিচে দেখুন) বেছে নেন সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ মজুদ থাকলে সংযোগ কখনো বাধাগ্রস্ত হবে না। বারবার বিল দেওয়ার মূল্যবান সময় এতে বেঁচে পেমেন্ট দিতে গ্রাহক সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন (ক্রেডিট কার্ড-এর ক্রেডিট লিমিট-এর ৪৫ দিন পর্যন্ত)। অটো বিল-পে’র জন্য স্বাক্ষরকারী নতুন পোস্ট-পেইড গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও কোনো সিকিউরিটি ডিপোজিট প্রদান করতে হবে না এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট লিমিট উপভোগ করবেন। অটো বিল-পে সংগ্রহের তিনটি অপশন: ১ম অপশন:পুরো বকেয়া বিল ক্রেডিট লিমিট-এর ৮০ শতাংশে পৌঁছালে বিল সংগ্রহ করা হয়। ২য় অপশন:পুরো বকেয়া বিল ক্রেডিট লিমিট-এর ৮০ শতাংশে পৌঁছালে বকেয়া বিলের ৫০ শতাংশ বিল সংগ্রহ করা হয়। ৩য় অপশন:মাসের শেষে বিল সংগ্রহ করা হয় (এক্ষেত্রে বকেয়া বিল ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে)। উদাহরণ: কোন গ্রাহকের ক্রেডিট লিমিট ৫০০ টাকা। – তিনি যদি ১ম অপশন পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে তার বকেয়া বিল ৪০০ টাকায় পৌঁছালে (যা ৫০০ টাকার ৮০ শতাংশ) তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ৪০০ টাকা সংগ্রহ করা হবে। – তিনি যদি ২য় অপশনটি পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে তার বকেয়া বিল ৪০০ টাকায় পৌঁছালে (যা ৫০০ টাকার ৮০ শতাংশ) তার ক্রেডিট কার্ড থেকে ২০০ টাকা সংগ্রহ করা হবে। – আর তিনি যদি ৩য় অপশন পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে মাস শেষে তার বিল সংগ্রহ করা হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে মাস শেষ হওয়ার আগেই তিনি যদি ৫০০ টাকার বেশি ব্যবহার করেন, এবং কোন বিল পরিশোধ না করে থাকেন তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। –বিলিং পিরিয়ড-এর শেষে যেকোনো পরিমাণ বকেয়া বিল, বিল সাইকেল তারিখে সংগ্রহ করা হবে। অটো বিল- পে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া: এই সুবিধা উপভোগ করতে গ্রাহককে অটো বিল-পে অথোরাইজেশন ফর্ম (ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন) পূরণ করে আমাদের কাছে জমা দিতে হবে। গ্রাহক বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার সেন্টার কিংবা বাংলালিংক ওয়েবসাইটে এই ফর্ম পাবেন। যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফটোকপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে গ্রাহকের বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ক্রেডিট কার্ড থেকে সংগ্রহ করা হবে। এই সুবিধা কার্যকর হতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এই সুবিধা বর্তমান বিল সাইকেল থেকেই শুরু হবে যদি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিল সাইকেল তারিখের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই সেবা বাতিল করার জন্য গ্রাহককে তার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে লিখিত আবেদন করতে হবে। |